শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নে চাল আত্মসাতের ঘটনায় পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ আজির উদ্দিন, মোঃ রইছ মিয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন একই উপজেলার দামোধরতোপি গ্রামের কেতকী রঞ্জন দাস। সুনামগঞ্জে স্পেশাল জজ আদালতে দ-বিধি আইনের ৪০৬/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মামলা নং-১৩/২০১৮।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ আর্থিক বৎসরে সংসদ সদস্য হতে বরাদ্দকৃত ২য় পর্যায় কাবিখা কর্মসূচির অধিনে পিটাপশি শিশু মিয়ার বাড়ি হতে মোকামবাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের নামে ৮ মেট্রিকটন চাউল বরাদ্ধ দেয়া হয়। ১০ জুলাই ডিও নং-৫৭১৫৪৯৮ মূলে ১ম পর্যায়ে ৪ মেট্রিকটন চাউল উত্তোলন এবং ২য় পর্যায়ে ২৮ জুলাই ডিও নং-৫৭৭৫৪৭৭ মূলে ২য় পর্যায়ে ৪ মেট্রিকটন চাউল উত্তোলন করা হয়। সরকারি মূল্য অনুযায়ী ৩৩ টাকা কেজি হিসেবে ৮ মেট্রিকটন চাউলের মূল ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, ছালিক মিয়া, আসিক মিয়া, উকিল আলী ও কালা মিয়া উক্ত প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন, তারা কোন কাজ না করে নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পূর্বপাগলা ইউনিয়ন পরিষদের নামে ঈদুল আযহা ২০১৮ উপলক্ষে ভিজিএফের ১৯ টন ৭শ ৬০ কেজি চাল সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ খাদ্যগুদাম হতে সম্পূর্ণ চাল উত্তোলন করা হয়। ১৬-১৭ আগস্ট ২০ কেজি চালের পরিবর্তে ১০ কেজি হারে ২শ ৫০ জনকে প্রদান করা হয়েছে, যার পরিমাণ ২ টন ৭শ ৬০ কেজি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ও ইউপি সদস্য আজির উদ্দিন ও রইছ মিয়া ১৭ মেট্রিকটন চাল যা ৯শ ৮৮টি কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণ না করে আসামীগণ নিজে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে আত্মসাত করেন।
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ২৭ আগস্ট দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আফরুজা বেগম, রূপতেরা বেগম ও আছমা বেগম ভিজিডির মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, জুন মাসের মালামাল এখনও বিতরণ করা হয়নি। ইস্যুকৃত ভিজিডি কার্ড ও ভিজিডি সঞ্চয়ী পাস বহি উপকার ভোগীদের কাছে বিতরণ না করে চেয়ারম্যান নিজের কাছে জমা রেখেছেন। সরকার কর্তৃক ঘোষিত ৩০ কেজি চালের প্যাকেট উপকার ভোগীদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ থাকলেও চেয়ারম্যান বালতী দ্বারা চাল বিতরণ করেন। প্রতি কার্ডের বিপরিতে ৩০ কেজির পরিবর্তে প্রায় ২০ কেজি করে দেওয়া হয়। ৩০ জুন ৬ টন ৮শ ৪০ কেজি চাল উত্তোলন করা হয়, কিন্তু চেয়ারম্যান তা বিতরণ না করে আত্মসাত করেছেন।
পূর্বপাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কিছু মানুষ রয়েছে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।